বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি (ভূগোল এবং নৈতিকতা) (New Ultimate Hidden Guide: BCS Preliminary Preparation)

বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি বা গণিত এই বিষয়গুলিতে যেমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় ঠিক তেমনি ২/১ টি বিষয় আছে যেগুলোতে একটু পরিশ্রম করলে আপনি ভাল নম্বর তুলতে পারবেন। বিসিএস সিলেবাস অনুযায়ী (BCS Preliminary Syllabus) ভূগোল এবং নৈতিকতা এই ২ টি বিষয়ে ১০ নম্বর করে মোট ২০ নম্বররে প্রশ্ন হয়ে থাকে। বিসিএস ক্যাডার স্বপ্ন পূরণে এই ২০ নম্বর কোন ভাবেই হেলাফেলা করা যাবে না। কিছু টেকনিক অনুসরণ করলে সংক্ষিপ্ত সময়ে ৪৭ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ভূগোল ও নৈতিকতায় প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব।

৪৭ তম বিসিএস প্রস্তুতি ভূগোল,পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা গাইডলাইন (47 BCS preparation geography)
বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় সফল হতে অন্যান্য বিষয়ের মত ভূগোল,পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ। প্রিলিতে ভূগোল,পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা থেকে ১০ নম্বরের প্রশ্ন হয়ে থাকে। বিসিএস ভূগোল সিলেবাসটি (BCS Syllabus) দেখে এত অল্প নম্বরের জন্য অনেকেই পরিশ্রম করতে চায় না। কিন্তু বিসিএস ক্যাডার হওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে পরিকল্পনা করে সকল বিষয়ে বিসিএস প্রস্তুতি (BCS Prostuti) নেয়া প্রয়োজন। কিছু টেকনিক ফলো করে বিসিএস ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা- বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু করুন।

৪৭ তম বিসিএস ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সিলেবাস ও মানবন্টন (47th BCS geography syllabus)
ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা – মোট নম্বর ১০

রেফারেন্স বুকঃ

ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বই (৯ম-১০ম শ্রেণি)
বিসিএস ভূগোল,পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা- Easy Publications
কনফিডেন্স রিসার্চ ওয়ার্ক প্রকাশিত-বিসিএস সংক্ষিপ্ত সাধারণ জ্ঞান
সিলেবাস ও মানবন্টনঃ

বাংলাদেশ ও অঞ্চল ভিত্তিক ভৌগোলিক সীমানা, অবস্থান,আর্থ-সামাজিক ,পারিবেশিক ও ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব।
অঞ্চল ভিত্তিক ভৌত পরিবেশ (ভূ-প্রাকৃতিক), সম্পদের বণ্টন ও গুরুত্ব।
বাংলাদেশের পরিবেশ: প্রকৃতি ও সম্পদ, প্রধান চ্যালেঞ্জ সমূহ।
বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক পরিবেশ পরিবর্তন: আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ামক সমূহের সেক্টরভিত্তিক (যেমন :অভিবাসন, কৃষি, শিল্প, মৎস্য ইত্যাদি) স্থানীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা: দুর্যোগের প্রকৃতি,ধরন ও ব্যবস্থপনা।

৪৭ তম বিসিএস প্রস্তুতি নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন গাইডলাইন গাইডলাইন (47 BCS preparation morality, values & good goverance)
বিসিএস প্রিলিমিনারী সিলেবাস অনুযায়ী “নৈতিকতা,মূল্যবোধ ও সুশাসন” এই বিষয়টি থেকে ১০ নম্বরের প্রশ্ন হয়ে থাকে। বিসিএস পরীক্ষায় এই বিষয়টিতে কিছু কিছু প্রশ্ন এমন হয় যে সব গুলো অপশনই ঠিক মনে হয়। তাই বিচক্ষণতার সাথে চিন্তা ভাবনা করে বেস্ট উত্তরটা খুঁজে বের করতে হবে।তবে যথাযথ প্র্যাকটিস করলে বিসিএস নৈতিকতা,মূল্যবোধ ও সুশাসন-এ ভাল নম্বর তুলা সম্ভব।

৪৭ তম বিসিএস নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন সিলেবাস ও মান বন্টন (47 BCS syllabus)

নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন – মোটনম্বর ১০

বুক রেফারেন্সঃ

পৌরনীতি ও সুশাসন- প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক
নাগ
রিকদের জানা ভাল ( মোঃ হাবিবুর রাহমান)
অ্যাসুরেন্সের নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন বইটি অথবা MP3 অথবা যেকোন একটি গাইড
ডাইজেস্ট
সিলেবাস ও মানবন্টনঃ

Definition of Values and Good Governance (মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের সংজ্ঞা)
Relation between Values and Good Governance (মূল্যবোধ শিক্ষার সাথে সুশাসনের সম্পর্ক )
General Perception of Values and Good Governance (মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের সাধারণ ধারণা)
Importance of Values and Good Governance in the life of an individual as a citizen as well as in the making of society and national ideals ((মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের গুরুত্ব)
Impact of Values and Good Governance in national development (জাতীয় উন্নয়নের লক্ষ্যে মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের প্রভাব)
How the element of Good Governance and Values can be established in society in a given social context (সুশাসন ও মূল্যবোধ শিক্ষার উপাদান)
The benefit of Values and Good Governance and the cost society pays adversely in their absence (মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের উপযোগিতা ও অভাবজনিত প্রভাব।
বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি ও লাইভ এক্সাম ফ্রিতে দিতে “হ্যালো বিসিএস” এপ ডাউনলোড করুন।

সবশেষে, অনেকেই এই বিষয়টি পুরোপুরি বাদ দিয়ে প্রিলি দিতে যায়। এই ভুলটি মোটেও করা যাবে না। একটু পরিশ্রম করলে ও কমন সেন্স খাটালে বিসিএস নৈতিকতা,মূল্যবোধ ও সুশাসনে ৬-৭ সহজেই পাওয়া সম্ভব। তাই যত পারেন BCS Model Test দিয়ে নিজের প্রস্তুতিকে শাণিত করুন।

মনে রাখবেন, পরিশ্রম কখনোই বৃথা যায় না। তাই বিসিএস ক্যাডার স্বপ্ন পূরণে একাগ্রতার সাথে সুপরিকল্পিত উপায়ে বিসিএস প্রস্তুতি শুরু করুন। শুভ কামনা রইল।

ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা


প্রথমেই পিএসসির সিলেবাস সম্পর্কে জানতে হবে। এরপর ৩৫ থেকে ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারির আগের সব প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ পড়তে হবে। ভূগোলে ভালো করতে হলে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মানচিত্র সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। মানচিত্র থেকে বিভিন্ন দেশ ও মহাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, সীমানা, পাহাড়-পর্বত, নদ-নদী, প্রণালি, দ্বীপ, উপত্যকা, নদীতীরবর্তী শহর এবং সাগর-মহাসাগর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।

বাংলাদেশের অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ, কর্কটক্রান্তি রেখা, আয়তন, সীমানা, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত দৈর্ঘ্য, সমুদ্র বিজয়, ছিটমহল, বঙ্গোপসাগর, সৌরজগৎ, জোয়ার-ভাটা, পৃথিবীর গতি, গোলার্ধ, ভূপরিবর্তন, পৃথিবীর বাহ্যিক ভূমিরূপ, গিরিখাত, জলাভূমি,পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও মহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং বিশ্বের বৃহত্তম, ক্ষুদ্রতম, উচ্চতম ও দীর্ঘতম বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে। এই তথ্যগুলো নবম-দশম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ বই থেকে পড়া যেতে পারে।

বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রকৃতি ও সম্পদ থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন থাকে। বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি, নদী, দ্বীপ, চর, হাওর, বিল ও ঝরনা সম্পর্কে জানতে হবে। কৃষি, বনজ, শিল্প, খনিজ ও শক্তি সম্পদ থেকেও কিছু প্রশ্ন থাকতে পারে।

বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তর, শিলা, পর্বতের শ্রেণিবিভাগ, জলপ্রপাত, আগ্নেয়গিরি, জলবায়ুর উপাদান ও নিয়ামক, বদ্বীপ এবং আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কেও জেনে রাখতে হবে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা থেকে আগের বিসিএসগুলোতে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন এসেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ সম্পর্কে জানতে হবে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, সাইক্লোন, কালবৈশাখী, বন্যা, খরা, ভূমিকম্প, সুনামি, বজ্রপাত, নদীভাঙন, মরুকরণ এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা সম্পর্কে বিস্তারিত পড়া আবশ্যক।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উপাদান, বিভিন্ন স্তর এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কেও জানতে হবে।

নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন

প্রস্তুতির জন্য আগে পিএসসির সিলেবাস দেখে নিতে হবে। এরপর ৩৫ থেকে ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারির আগের সব প্রশ্ন ব্যাখ্যাসহ ভালোভাবে পড়তে হবে। এ বিষয়ে নম্বর ওঠাতে অনেকে দ্বিধাগ্রস্ত থাকেন। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, অন্য যেকোনো বিষয়ের তুলনায় অল্প প্রস্তুতিতে এই অংশে খুব ভালো নম্বর তোলা যায়। সে জন্য প্রয়োজন উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা, বিচক্ষণতা এবং যথাযথ অনুশীলন।

সিলেবাসের বিষয়গুলোর মধ্যে মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের সংজ্ঞা থেকে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন এসেছে। তাই মূল্যবোধ, সুশাসন ও নৈতিকতা–সংক্রান্ত প্রসিদ্ধ প্রামাণ্য সংজ্ঞাগুলো শিখে নিতে হবে। সুশাসন সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, ম্যাককরনি এবং কফি আনানের মন্তব্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। মূল্যবোধ শিক্ষা ও সুশাসনের সাধারণ ধারণা থেকেও প্রতিবার প্রশ্ন এসেছে। মূল্যবোধ সম্পর্কে বিভিন্ন মনীষীর মন্তব্য, মূল্যবোধের বৈশিষ্ট্য এবং শ্রেণিবিভাগ জানতে হবে। সুশাসনের ধারণাকাল, স্তম্ভ, বৈশিষ্ট্য, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার ও নাগরিকের কর্তব্য এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার সমস্যা সম্পর্কে জানতে হবে।

সুশাসন ও মূল্যবোধের উপাদান সম্পর্কে পড়তে হবে। সুশাসনের উপাদান সম্পর্কে জাতিসংঘ, ইউএনডিপি,বিশ্বব্যাংক,আইডিএ ও ইউএনএইচসিআরের মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য। মূল্যবোধের ভিত্তি, নীতি ও ঔচিত্যবোধ এবং গোল্ডেন মিন (সুবর্ণ মধ্যক) সম্পর্কেও জেনে রাখা ভালো।

মূল্যবোধ শিক্ষার গুরুত্ব এবং সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসনের ভূমিকা সম্পর্কে পড়তে হবে। মূল্যবোধ ও সুশাসনের প্রভাব এবং মূল্যবোধ ও সুশাসনের সম্পর্কও জেনে রাখা উচিত। মূল্যবোধ ও সুশাসনের উপযোগিতা এবং অভাবজনিত প্রভাব সম্পর্কেও পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে।

সংবিধানে সুশাসন ও নৈতিকতাসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ এবং সুশাসনসংশ্লিষ্ট প্রসিদ্ধ গ্রন্থ সম্পর্কে জানতে হবে। প্লেটো, অ্যারিস্টটল, রুশো, বার্ট্রান্ড রাসেল, কার্ল মার্ক্স, থমাস হবস, ম্যাকিয়াভেলি, জেরেমি বেন্থাম, জন স্টুয়ার্ট মিল ও ইমানুয়েল কান্টের সংশ্লিষ্ট বইগুলো সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।

এ ছাড়া আইন, প্রথা, রাষ্ট্র, সংস্কৃতি, গণতন্ত্র, ই-গভর্ন্যান্স, ধর্ম, নীতিবিদ্যা, উপযোগবাদ, শূন্যবাদ, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ, নৈতিক আচরণবিধি, শুদ্ধাচার এবং মানবাধিকার সম্পর্কে জানা উচিত। বাংলাদেশে সুশাসনের অগ্রগতি সম্পর্কেও জানতে হবে। এ বিষয়ের জন্য উচ্চমাধ্যমিকের পৌরনীতি ও সুশাসন বইটি খুবই সহায়ক হতে পারে।

Leave a Comment